এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অসত্য অভিযোগ উপস্থাপন করে গত ০২ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখে নিউজ২৪ টিভিতে সংবাদ প্রচার করা হয়। সংবাদে অভিযোগের প্রমান হিসেবে টাকা গ্রহনের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করা হয়। ভিডিও এবং সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। অভিযোগ ওঠার সাথে সাথে বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট দোকানদারের নিকট হতে নিজ ব্যবহৃত একটি মোবাইল বিক্রির টাকা আনতে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য এএসআই মোঃ হারুন অর রশিদ। পাওনা টাকা গ্রহনের এ ভিডিওটিকে ধারন করে পূর্ব শত্রুতা বা ক্রোধের জের ধরে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ মানুষ সহজেই বিশ্বাস করে এই ভাবনা থেকে এ সুযোগ নেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। সঠিক অভিযোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই, কিন্তু এ ধরনের সুযোগ সন্ধানী ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিযোগ এবং সংবাদ প্রতিবেদন কখনই দেশের জন্যও কল্যানকর নয়। রাজশাহী জেলার বক্তব্য সম্মানিত জনগণের সদয় পাঠ ও অবগতির জন্য নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।
এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অসত্য অভিযোগ উপস্থাপন করে গত ০২ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখে নিউজ২৪ টিভিতে সংবাদ প্রচার করা হয়। সংবাদে অভিযোগের প্রমান হিসেবে টাকা গ্রহনের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করা হয়। ভিডিও এবং সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। অভিযোগ ওঠার সাথে সাথে বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট দোকানদারের নিকট হতে নিজ ব্যবহৃত একটি মোবাইল বিক্রির টাকা আনতে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য এএসআই মোঃ হারুন অর রশিদ। পাওনা টাকা গ্রহনের এ ভিডিওটিকে ধারন করে পূর্ব শত্রুতা বা ক্রোধের জের ধরে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ মানুষ সহজেই বিশ্বাস করে এই ভাবনা থেকে এ সুযোগ নেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। সঠিক অভিযোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই, কিন্তু এ ধরনের সুযোগ সন্ধানী ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিযোগ এবং সংবাদ প্রতিবেদন কখনই দেশের জন্যও কল্যানকর নয়। রাজশাহী জেলার বক্তব্য সম্মানিত জনগণের সদয় পাঠ ও অবগতির জন্য নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।ঃ
তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, বাগমারা থানা, রাজশাহীর সাবেক এএসআই, বর্তমানে পুলিশ লাইন্স, রাজশাহীতে সংযুক্ত এএসআই (নিঃ)/মোঃ হারুন-অর-রশিদ কর্তৃক গত ০২/১২/২০২০ খ্রিঃ পাওনা টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য তাহেরপুর বাজারস্থ আশিক টেলিকম এর মালিক আশিকের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও মর্মে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়া এবং পরবর্তিতে উক্ত ভিডিওর প্রেক্ষিতে নিউজ-২৪ চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদ সংক্রান্তে জেলা পুলিশ, রাজশাহীর প্রতিবাদ।
গত ০২-১২-২০২০ খ্রিঃ তারিখ নিউজ-২৪ টিভি চ্যানেলে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এএসআই/মোঃ হারুন-অর-রশিদ কর্তৃক তাহেরপুর বাজারে আশিক টেলিকম নামক মোবাইলের দোকান হতে সরাসরি ঘুষ গ্রহণের একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। একপর্যায়ে টিভি চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সচিত্র প্রতিবেদনটি রাজশাহী জেলা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষনিক এএসআই/মোঃ হারুন-অর-রশিদকে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করে এবং এবিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্যের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলা পুলিশ প্রথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে যে- নিউজ-২৪ চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদনটি কোন রকম অনুসন্ধান না করে বা সঠিক তথ্য না জেনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃত তথ্য/সত্য হচ্ছে-
এএসআই(নিঃ)/ মোঃ হারুন-অর-রশিদ আনুমানিক ৭/৮ মাস পূর্বে তার নিজ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে vivo –v-15 মডেলের একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ১০/১০/২০২০ ইং তারিখে এএসআই(নিঃ)/ মোঃ হারুন-অর-রশিদ উক্ত vivo –v-15 মোবাইল ফোনটি তাহেরপুর পৌর সুপার মার্কেটে ‘মা টেলিকম’ এর মালিক মোঃ তুহিন এর কাছে ১৪,০০০/-(চৌদ্দ হাজার) টাকায় বিক্রি করেন এবং ঐ দিনই মোঃ তুহিনের দোকান হতে একটি samsung A20 মডেলের সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন ১২,০০০/-(বার হাজার) টাকায় ক্রয় করেন। মোবাইল ফোন বিক্রয় বাবদ অতিরিক্ত পাওনা ২,০০০/- টাকা মা টেলিকম এর মালিক এএসআই/মোঃ হারুনকে তৎক্ষনাত প্রদান না করে মোবাইল সেটটি বিক্রয়ের পরে দিবেন মর্মে জানান। মা টেলিকমের মালিক মোঃ তুহিন আহম্মেদ এএসআই/ হারুনের নিকট থেকে ক্রয়কৃত মোবাইল সেটটি পরবর্তিতে আলিম নামের স্থানীয় এক সাংবাদিকের নিকট ১৪,৫০০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন। গত ১৭/১০/২০২০ ইং তারিখে এএসআই/হারুন-অর-রশিদ তুহিনের দোকানে মোবাইল বিক্রির অতিরিক্ত পাওনা ২০০০/- টাকা নিতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই টাকা গ্রহণের ঘটনাটি দোকানে রক্ষিত সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে তুহিনের দোকানের কর্মচারী আশিক ও স্থানীয় সাংবাদিক আলিম এর সহযোগিতায় স্থানীয় সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান জীবন সু-কৌশলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজটি সংগ্রহ করেন এবং তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘‘পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই এর আশিক টেলিকম হতে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফাঁস” শিরোনামে ভিডিওটি ভাইরাল করেন।
তদন্তে জানা যায় যে, প্রকৃতপক্ষে তাহেরপুর বাজারে আশিক টেলিকম নামে কোন দোকান নাই। মোঃ আতিকুর রহমান আশিক ‘মা টেলিকম’ নামক মোবাইলের দোকানের একজন কর্মচারী যার মালিক মোঃ তুহিন আহম্মেদ। এই সংক্রান্তে তদন্তকালে আরো জানা যায়, গত ১৯/০৭/২০২০ ইং তারিখে তাহেরপুর পৌর সভায় অবস্থিত ডাঃ সাব্বির ক্লিনিকে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান জীবন ও হাসানুজ্জামানদ্বয় অহেতুকভাবে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের নামে যায় এবং ক্লিনিকের মালিক ডাঃ সাব্বিরসহ অন্যান্য স্টাফদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উক্ত দুই সাংবাদিককে তারা চাঁদা দাবির অভিযোগে আটক করে স্থানীয় তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সংবাদ দেয়। সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এএসআই/ হারুন-অর-রশিদ ঘটনাস্থলে যান এবং উভয় পক্ষকে শান্ত করে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেন যা উল্লিখিত সাংবাদিকদ্বয় এর মনোপুত হয়নি।
এরপর থেকেই সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান জীবন এএসআই/ হারুন-অর-রশিদ এর নামে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত থাকার চেষ্টা করেন এবং সর্বশেষ বিক্রিত মোবাইল ফোনের পাওনা টাকা গ্রহণের ভিডিও ফুটেজটি সংগ্রহ করে এএসআই/ হারুন-অর-রশিদ কর্তৃক ঘুষ গ্রহনের ভিডিও নামে বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল করে দেন যা প্রকৃত পক্ষে কোন ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ছিল না। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে একটি স্বাভাবিক লেনদেনের ঘটনাকে তিনি ঘুষ গ্রহণের ঘটনা হিসেবে প্রচার করেন। তাহেরপুর বাজারের মা টেলিকম এর মালিক মোঃ তুহিন আহম্মেদসহ বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীবৃন্দ, রাজনীতিবীদ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের প্রদত্ত বক্তব্যেও ভিডিও ফুটেজে দেখানো ঘটনাটি প্রকৃত পক্ষে কোন ঘুষ প্রদান/গ্রহণের বিষয় ছিল না মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
তবে সু-শৃঙ্খল বাহিনীর একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে কর্মস্থলে মোবাইল সেট কেনা-বেচা করা ও পোশাক পরিহিত অবস্থায় মোবাইল ফোনের দোকানে বসে ধুমপান করার বিষয়টি পেশাগত শিষ্টাচার বর্হিভুত এবং অপেশাদারিত্বমূলক আচরণের বহিঃ প্রকাশ। এরূপ অপেশাদারসূলভ কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।