তিনি জানিয়েছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এক কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭৩ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা সাজিয়েছে তার সরকার।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ইতোমধ্যে ভারতের উপহারের ২০ লাখ এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া থেকে কেনা ৫০ লাখ অক্সফোর্ডের টিকা দেশে পৌঁছেছে। বুধবার কুর্মিটোলা হাসপাতালের একজন নার্সসহ ২৫ জনকে এই টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
সরকার প্রধান সংসদে বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে মোট তিন কোটি ডোজ টিকার সরবরাহ পাওয়া যাবে। এর বাইরে প্রয়োজন অনুযায়ী আরো টিকা কেনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
আহসানুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বের ৯২টি দেশের মত বাংলাদেশও মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা পাবে। তাতে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই টিকাদানের অগ্রাধিকার তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে দেশের জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ (মোট ১ কোটি ৫০ লাখ) মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।