তাছাড়া অন্তত ১৩ টি গরু এ দুর্ঘটনায় মারা গেছে। পহেলা ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাত সোয়া ২ টার দিকে উপজেলার কুর্শা এলাকায় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। নিহত সোরহাব আলী উপজেলার কুর্শা এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের দুই পাশে সম্প্রসারণ কাজ চলছে।
সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসেবে কুর্শা এলাকায় একটি ছোট ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ব্রীজ নির্মার্ণের জন্য রাস্তায় গভীর গর্ত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যস্ততম এই রাস্তায় গভীর গর্ত করলেও জনগন ও যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি,করা হয়নি কোন আলোর ব্যবস্থাও। তাই স্বাভাবিক চলাচলের অভ্যাসের কারনে দ্রুতগামী ট্রাকটি সরাসরি গর্তে পড়ে যায়। এসময় কালভার্ট নির্মাণ কাজের পাহাদার গরু বোঝাই ট্রাকটির চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে কুড়িগ্রাম থেকে গরু বোঝাই করে রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার পথে প্রায় শেষ রাতে কুর্শা এলাকায় পৌঁছলে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে একজন নিহত, ২ জন আহত ও ১৩ টি গরু মারা যায়।
এ ঘটনায় ট্রাকের চালক মোখলেছ মিয়া ট্রাকের ভিতরে আটকা পড়ে যায়। এ সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা এসে ট্রাকের বডি কেটে তাকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর আগে স্থানীয়রা গরুর পাইকার নবী হোসেনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা এখন পর্যন্ত ঝুঁকি মুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকগন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে সোরহাব আলীর মরদেহ এবং ১৯টি গরু জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হেয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।