আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তাপ হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু গ্যালারিতে জড়ো হয়েছিলেন হাজারখানেক দর্শক। শীতের রাতে জয় নিয়েই ফিরেছেন আবাহনী সমর্থকেরা। ফেডারেশন কাপের ‘ডি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করেছে আবাহনী।
২০২০ সালের বাতিল হওয়া লিগে মোহামেডানকে ৪-০ হারিয়েছিল আবাহনী। মার্চের সেই ম্যাচের সঙ্গে চাইলে এ ম্যাচের মিল খুঁজে পাওয়া যায় অনেক। স্থানীয় খেলোয়াড়ে কোনো পরিবর্তন নেই, দুই দলের ডাগআউটেও পুরোনো দুই কোচ। মোহামেডানের ডাগআউটে অস্ট্রেলিয়ার শন লেন ও আবাহনীতে পর্তুগালের মারিও লেমোস। ফলাফলটা শুধু ৪-০–এর স্থলে ৩-০।
খেলোয়াড়দের মানদণ্ডের বিচারে আবাহনীর ধারেকাছেও নেই মোহামেডান। আকাশি-নীলদের একাদশেই জাতীয় দলের পাঁচ ফুটবলার। মোহামেডান জাতীয় দলের কেউ নেই। তবু আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ বলে কথা।
তারুণ্যের ঝান্ডা উড়িয়ে ৪-১-৪-১ ফরমেশনে একাদশ সাজিয়ে ছিলেন শন লেন। ওপরে সুলেমান দিয়াবাতেকে রেখে প্রতি আক্রমণ ফুটবলের কৌশল ছিল তাঁর। শুরুতে আবাহনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই খেলেছেন মোহামেডানের তরুণেরা। চার বিদেশি কোটায় তিনজনকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল আবাহনী।
আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইগানির অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কাছেই মলিন সাদা-কালোরা। মোহামেডানের ফরোয়ার্ড লাইন ঠেকাতে হবে, সাইগানি আছেন। গোল করতে হবে, সেখানেও আছেন এই সেন্টারব্যাক। গোল করাতে হবে? সেখানেও আছেন দীর্ঘদেহী এই আফগান। দলের প্রথম গোল করেছেন, করিয়েছেন আরও একটি। জুয়েল রানার প্রথম গোলটি মাসিহর নামের পাশে লিখে দিলেও কেউ আপত্তি করবেন না।
প্রথমার্ধেই ২-০। এরপরও ম্যাচ নিয়ে যদি কোনো শঙ্কা থাকে, সেটি একপ্রকার শেষ হয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটেই। এবারও সেখানে লেফট ব্যাক রায়হানের লম্বা থ্রোইনের কারিশমা। তাঁর থ্রো থেকে কেভিন বেলফোর্টের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় পা লাগিয়েছেন জুয়েল।