মূলত তিনটি কারণে দেশে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যে পরিবর্তিত ধরন বা ইউকে ভেরিয়েন্ট দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ সময়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কাজ করছে উষ্ণ আবহাওয়া। স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে অবাধ চলাফেরাও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রাখছে।
অবশ্য জেনেভার বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলেছে, আবহাওয়ার সঙ্গে করোনাভাইরাসের ব্যাপকতার সম্পর্কটি এখনো স্পষ্ট নয়। ভবিষ্যতে মৌসুমি রোগ হিসেবে কোভিড-১৯ থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৪২ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের এ বিশেষায়িত সংস্থা। দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ এ পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল শুক্রবার দেশে ১ হাজার ৮৯৯ জন নতুন রোগী শনাক্তর তথ্য জানিয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগের দিনও শনাক্তের হার ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আক্রান্ত ও আক্রান্তের হার বেশি দেখা যাচ্ছে। দেশে সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক বছর পর সংক্রমণ পরিস্থিতির নতুন মাত্রায় মানুষের মধ্যে বেশ উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কী করছে, তা নিয়ে অনেকটাই অন্ধকারে রয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ। নিজেদের গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতবিনিময় বা সভা প্রায় বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে। কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি অধিদপ্তরের সঙ্গে সভা হয়েছিল। জানি না কমিটি আছে, নাকি বিলুপ্ত হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল, অধিদপ্তর তা নিচ্ছে না।