‘দেখ দেখ বিশ্ববাসী,
নয় বাংলা কারও দাস বা দাসী…
’—গানের তালে তালে নাচছিলেন একদল তরুণ, তুলছিলেন সেলফি। শুধু এই তরুণেরাই নন, শত শত কৌতূহলী মানুষ চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সৈকতে ভিড় করেছে বিশ্বের বৃহৎ ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান ই’ দেখতে।
পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করে এটি এখন বহির্নোঙরে পারকি সৈকতের কাছাকাছি রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে এটি হংকং নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর ‘তিয়ান ই’ ফিরে যাবে চীনে। এটি আরও এক মাস পারকি সৈকতের কাছাকাছি থাকবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার পারকি সৈকতসংলগ্ন বহির্নোঙরে রাখা হয় জাহাজটি। এ খবর আনোয়ারা ও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কৌতূহলী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে পারকি সৈকতে।
নৌ–পুলিশ ও কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে পদ্মা সেতুর স্প্যান বসাতে আনা হয়েছিল বিশ্বের বৃহৎ ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান ই’। ৩ বছর ৯ মাসে ৪১টি স্প্যান বসানো শেষে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে সেটি নিয়ে আসা হয়েছে চট্টগ্রামে। গত রোববার সকাল ১০টায় মাওয়ার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে চীনে তৈরি ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় এটি।
গতকাল শনিবার দুপুরে পারকি সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের খুব কাছাকাছি অবস্থান নেওয়া জাহাজটি ঘিরে উৎসুক দর্শনার্থীদের ভিড়। তাঁরা ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে স্পিডবোট নিয়ে জাহাজের আরও কাছাকাছি গিয়ে ছবি তুলছিলেন। পতেঙ্গা স্টিলমিল বাজার এলাকার মো. ইকবাল বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক জিনিস। তাই দেখতে এলাম একনজর।’
নগরীর কাপাসগোলা থেকে পরিবার–পরিজন নিয়ে আসা আতিকুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু এলাকায় যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খবর পেয়ে তাঁরা এখানে এসেছেন।
পারকি সৈকতের লুসাই পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, সৈকতের কাছে ‘তিয়ান ই’ আসায় দুদিন ধরে পারকি সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে গেছে। বেচাকেনাও বেড়েছে এ কারণে।