শুক্রবার ৩০ এপ্রিল বাদ জুম্মা কুলিয়ারচর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত ৩০/৩৫ জন ভিক্ষুকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন তিনি। এর আগে গত ২৭এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর থেকে তিনদিন ব্যাপী দ্বারাবাহিক ভাবে ওসি এ.কে.এম সুলতান মাহমুদ সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে এবং অর্থায়নে তার সাধ্যানুযায়ী উপজেলার পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন গ্রামে অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতে শতাধিক পরিবারের হাতে এ খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। খাদ্য সহায়তার প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে ছিলো- ১০ কেজি করে চাল, ২ কেজি করে আলু, ১ কেজি করে ডাল, ১ কেজি করে পেয়াজ ও ১ লিটার করে সোয়াবিন তৈল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েন। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির শিকার হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন এমন খবর পেয়ে গোপন সুত্রে নিজস্ব সূত্র থেকে যাচায় বাচায় করে দরিদ্র মানুষের তালিকা করে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় ওই সব খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায়দের বাড়ি গিয়ে হাজির হন তিনি।
উল্লেখ্য গত বছর রমজান মাসে ও লকডাউনের সময় উপজেলার বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান ত্রান ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে উপজেলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেও এ বছরের চিত্র ভিন্ন। এ বছর এই ধরণের তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়ছে না। প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর চলমান পরিস্থিতিতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের দু’বেলা খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের এ কার্যক্রমের সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অাওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ, সাংবাদিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন এবং পুলিশ সদস্য ও গ্রাম পুলিশ উপস্থিত থেকে এ খাদ্য সহযোগিতা প্রদান করেন। অসহায়দের মাঝে খাদ্য বিতরন প্রসঙ্গে ওসি এ.কে.এম সুলতান মাহমুদ সকলের দোয়া কামনা করে বলেন, এ ধরনের খাদ্য সহায়তা দেওয়া অব্যাহত থাকবে।