চলতি বছরের যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি মানুষ করোনা ভ্যাকসিন পাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) প্রধান স্টিফেন হান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাইজারের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় পর্যালোচনা সভার পর বিষয়টি নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেছে এফডিএ। চলতি বছরেই ২ কোটি মার্কিন ভ্যাকসিনটি পাবে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এফডিএ কমিশনার স্টিফেন হান ভ্যাকসিন অনুমোদনের সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা জানাতে অস্বীকৃতি জানালেও বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নীতিনির্ধারণী বৈঠকের পর ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনা ভ্যাকসিনটি নিয়ে দ্রুত কাজ করা হবে।
এ সম্পর্কিত এক সাক্ষাৎকারে স্টিফেন হান রয়টার্সকে বলেন, ‘এফডিএ ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেওয়ার পরপরই আমি এটি নেব। একই সঙ্গে আমার পরিবারের সদস্যদেরও এটি নিতে উৎসাহিত করব।’ সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোসের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোসের সঙ্গে ভ্যাকসিনের অনুমোদনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ ফেডারেল কর্মকর্তাই আশা করছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর এফডিএ বৈঠকের পরপরই ভ্যাকসিনটির অনুমোদন হবে। কিন্তু এফডিএর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই বৈঠকের পর অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এমনকি কয়েক সপ্তাহ সময়ও লাগতে পারে।
ভ্যাকসিনের বিষয়ে এখনো নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে স্টিফেন হানের কোনো আলাপ হয়নি। এ বিষয়ে এফডিএ প্রধান রয়টার্সকে বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ তৈরি হয়নি। ভ্যাকসিন বিতরণ সম্পর্কিত আলোচনাগুলো স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে।’
স্টিফেন হান জানান, ক্ষমতা হস্তান্তরের পর কী করবেন, তিনি তা এখনো ঠিক করেননি।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন করোনা ভ্যাকসিনের দ্রুত অনুমোদনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গে এ অনুমোদন হলে এর কৃতিত্ব যাবে বিদায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে। একই সঙ্গে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের শুরুর ধাপটিও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের মধ্য দিয়েই সূচিত হবে। ফলে এর কৃতিত্বও পাবে ট্রাম্প প্রশাসন। এ কারণেই বিশেষত ডোনাল্ড ট্রাম্প ভ্যাকসিনের তড়িঘড়ি অনুমোদনের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ ক্ষেত্রে সব বিধি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছেন।