বাসায় থাকার কারণে অবসরে ঈদে প্রচারিত নাটকগুলো দেখার চেষ্টা করেছেন গুণী অভিনয়শিল্পী। বেশির ভাগ নাটক দেখে তাঁর কাছে মনে হয়েছে, বাংলা ভাষা নষ্টের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা চলছে।
ঈদের নাটক নিয়ে সাধারণ দর্শকদের মতো আগ্রহ থাকে অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াতেরও। নিয়ম করেই তিনি টেলিভিশনের সামনে বসে এখনো মানসম্মত নাটকের খোঁজে থাকেন। এবারের ঈদেও সময় নিয়ে নাটক দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সিংহভাগ নাটকেরই শেষ দৃশ্য পর্যন্ত যেতে পারেননি। অস্বস্তিকর অবস্থায় টেলিভিশনের সামনে থেকে উঠে যেতে হয়েছে।
আবুল হায়াত জানালেন, নাটকগুলোতে সব চরিত্র অস্থির প্রকৃতির। গল্পে কোনো সৌন্দর্য নেই। নাটকের মাধ্যমে বাঙালির যে চিরচেনা ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা ছিল, তা মুছে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ নাটকের চিত্রনাট্য দেখে বোঝা যায়, কোনো ধরনেরই পরিকল্পনা নেই, ভাবনাচিন্তা ছাড়াই শুটিং হয়। এখন আবার নাটকে অকারণে উচ্চ স্বরে কথা বলা একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিনয়ের মধ্যে মেকি ভাব বোঝা যায়। কিছুক্ষণ পর পর বাইকের আধিক্য। যে যার মতো পারছে, সংলাপ বলে যাচ্ছে। এমন নাটক দেখতেও কষ্ট লাগে।’
নাটকে এখন ভাষাকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করা হচ্ছে। আমাদের বাংলা ভাষার যে সুনাম ছিল, তা এখন কমে গেছে। দর্শক হাসানোর নামে ভাষাকে নষ্ট করা হচ্ছে। এখনকার নাটকে প্রমিত ও আঞ্চলিক ভাষা মিলিয়ে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি হচ্ছে। যে ভাষার জন্য বাঙালি প্রাণ দিয়েছিল, সেই ভাষার এমন দুর্দশা দেখলে কষ্ট লাগে। যাঁরা এটা সমাধান করতে পারেন, তাঁরাও চুপ রয়েছেন।’